দুর্বৃত্ত ভাড়া করে চাচাকে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়ায় রাজ্জাক সরকার (৬৫) নামে এক প্রবাসীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছেন তারই ভাতিজা ওমর খৈয়ম সরকার রোপন।
মঙ্গলবার (০৩ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বগুড়া সদরের মহিষবাথান বন্দরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
সম্পর্কিত খবর
বুধবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে ভাতিজা ওমর খৈয়ম সরকার রোপনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক সরকার মহিষবাথান গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ সরকারের ছেলে। তিনি আমেরিকার নাগরিক। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার ঈদের দিন রাতে তিনি বগুড়া শহর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে মহিষবাথান গ্রামে যান। সেখানে মায়ের কবর জিয়ারত শেষে মহিষবাথান বন্দরে দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এমন সময় তার ভাতিজা রোপনের নেতৃত্বে ১০-১২টি মোটরসাইকেলযোগে একদল সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ফেলে।
এরপর একজন ধারাল অস্ত্র দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক সরকারকে কোপ দেয়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি তার ব্যবহৃত লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালানোর চেষ্টা করেন। দৌড়াতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, মঙ্গলবার ভোররাতে নিহত রাজ্জকের ভাতিজা ওমর খৈয়ম সরকার রোপনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল ও বেশকিছু গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষে কেউ মামলা করেননি। লাশ মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এনজে
